গাজীপুরে ঘাতক ট্রাক কেড়ে নিল নরসুন্দরের প্রাণ: ২ ঘন্টা সড়ক অবরোধ

আখতার হোসেন , বিশেষ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৩ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:২৩ পিএম

প্রতিকী ছবি

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩৪নং ওয়ার্ডের ছয়দানা ডেগেরচালা রোডের মাথায় ঘাতক ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে রাজকুমার রবিদাস (৪০) নামের এক নরসুন্দর নিহত হয়েছেন। 

বুধবার (২২ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত রাজকুমার রবিদাস ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার তালতলা গ্রামের মানিক রবিদাসের ছেলে। তিনি বর্তমানে গাছা থানাধীন শরীফপুর রডমিল রোডের জনৈক সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন।

এদিকে দুর্ঘটনার পর আটকে পড়া চালক ও যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রতিনিয়ত এই সড়কে বেপরোয়া ট্রাকের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। ফুটপাত, ব্রেক—কোনো নিয়ম মানে না তারা। দুর্ঘটনার পর কেউ দায় নেয় না।

স্থানীয় বাসিন্দা বিএনপি নেতা শাহিন মিয়া দ্রুত ওই সড়কে গতি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ও নজরদারি বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন।

অন্যদিকে পর পর কয়েকটি দূর্ঘটনার ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সাধারণ মানুষ বলছেন, এক মুহূর্তের অসাবধানতায় আবারও নিভে গেল এক শ্রমজীবী মানুষের জীবন,যে জীবনের মূল্য মাপা যায় না কোনো ক্ষতিপূরণে।

দুর্ঘটনার পর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও নিহতের সহকর্মীরা রাত ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত রাস্তা অবরোধ করে রাখেন। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক সংযোগ সড়কের ওই অংশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। আটকে পড়ে শতাধিক যানবাহন ও যাত্রী। অবরোধের কারণে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে ওঠে।

ভিকটিমের কর্মচারী সুরেশ রবিদাস বলেন, রাজকুমার ভাই দোকান বন্ধ করে বাসায় ফিরছিলেন, এমন সময় পেছন দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগামী ট্রাক তাকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। আমরা ঘাতক ট্রাকটি শনাক্ত করতে পারিনি।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান গাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম, এডিসি দক্ষিণ, এএসপি, ওসি (তদন্ত)সহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা এবং সেনাবাহিনীর মেজর ওয়ালী। তাদের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত মেজর ওয়ালী সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আসার সাথে সাথেই আন্দোলনকারীরা রাস্তা ছেড়ে চলে যায়। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ যেন আর না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে কঠোরভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গাছা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, নিহতের লাশ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা ময়মনসিংহ থেকে আসছেন। ঘাতক ট্রাকটি শনাক্তের চেষ্টা চলছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা প্রস্তুতি চলছে।

Link copied!